কক্সবাজার সংবাদদাতা: কক্সবাজার জেলার দুই উপজেলার নবনিযুক্ত ওসি প্রত্যাহার করা হয়েছে। যোগদানের মাত্র ৩/৪ দিনের ব্যবধানে কক্সবাজার সদর মডেল থানা এবং টেকনাফ মডেল থানার দুই ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) প্রত্যাহার করা হয়েছে।
জানা গেছে পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশনায় টেকনাফ মডেল থানার ওসি মো. আবুল ফয়সালকে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নে (এপিবিএন) এবং কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি মো. খায়রুজ্জামানকে শিল্প পুলিশে বদলি করা হয়েছে। এই ঘটনার বিস্তারিত অনুসন্ধান করতে কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে দৈনিক প্রত্যয়কে জানিয়েছেন অযোগ্যতার অভিযোগে (সম্ভবত) দুই থানার ওসিকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এ তথ্য জানা গেছে। পরবর্তীতে বদলির কাগজপত্র পৌঁছালে বিস্তারিত জানা যাবে।
তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যার পর জেলা পুলিশের মাদকবিরোধী অভিযানসহ নানা কার্যক্রম শিথিল রাখা হয়। থানাগুলোয় লোকজনের আসা–যাওয়া সীমিত করা হয়। এ কারণে মামলা ও সাধারণ ডায়েরি আগের তুলনায় অনেক কমে এসেছে।
গতকাল দৈনিক প্রত্যয়সহ জেলার বিভিন্ন আনলাই পত্রিকায় ‘সিনহা হত্যা ও বর্তমান পুলিশের কর্যক্রম নিয়ে প্রকাশিত হয় প্রতিবেদন কক্সবাজার সদর মডেল থানা ও টেকনাফ মডেল থানার প্রধান ফটক বন্ধ রাখার খবর প্রকাশ করা হয়। তাছাড়াও টেকনাফ থানায় হঠাৎ মামলার শিতিলতা দেখা দিয়েছে এই মর্মে অযোগ্যতার অভিযোগ এনে এই দুই থানার পুলিশ কর্মকর্তাকে শাস্তিমূলক বদলি করা হয়েছে।
গত ৩১ জুলাই পুলিশের গুলিতে সিনহা মো. রাশেদ খান নিহতের ঘটনায় ৬ আগস্ট থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। ৮ আগস্ট সকালে টেকনাফ থানায় ওসি হিসেবে যোগ দেন পুলিশ পরিদর্শক মো. আবুল ফয়সাল। এর আগে তিনি কুমিল্লার চান্দিনা থানার ওসি ছিলেন।
আর মাত্র তিন -চারদিন আগে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় ওসি হিসেবে যোগ দেন পুলিশ পরিদর্শক মো. খায়েরুজ্জামান। এর আগে তিনি এই থানায় ওসি তদন্ত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এই প্রসঙ্গ নিয়ে একাধিকবার যোগাযোগ করেও দুই ওসির পক্ষা থেকে কোন ধরনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।